ধনবিজ্ঞান | Dhanabigyan

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
অভাব ও চাহিদা ১৩ পেট্রলের প্রয়োজন, রুটির সঙ্গে চাই মাখন, ইটের সঙ্গে চুন বালি শুরকি। জব্যমূল্য-নিরূপণের ক্ষেত্রে এই বিশেষত্ব facta করেই লক্ষ্য করতে হয়, কারণ মোটরগাঁড়ির অভাব হলে পেট্রল অনেকেই কিনবে না, ফাউন্টেন- পেন AB হলে কালির চাহিদা বাড়বে । পেট্রলকে আমরা মোটরকারের “অনুপুরক? ata দিতে পারি। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেথা যায়, একই অভাব ছুটি বা ততোধিক জিনিসের যে-কোনো 'একটি দিয়ে মেটানো যেতে পারে। সকালবেলা যদি একটা গরম পানীয় ছাড়া আমার না চলে তবে চা বা কফি যে-কোনোটা দিয়েই আমার অভাব মিটতে পারে; যদি কফি HB হয়ে যায় তবে চায়ের চাহিদা] কমে যাবার সম্ভাবনা। মাছের সঙ্গে মাংসের, বিদ্যুতের সঙ্গে গ্যাসেব, বা টুথপেস্টের সঙ্গে দাতনকাঠির এ রকম প্রতিদ্বক্কুতার সম্পর্ক দেখতে পাওয়া যাবে। কলার্‌ আর নেকটাই পরস্পরের “অনুপুরক”; কিন্তু শাট আর পাঞ্জাবি পরস্পরের “প্রতিদ্বন্দ্বী” আলুসিদ্ধ না cacy পটলসিদ্ধ খেলে আলু ও পটল প্রতিদ্বন্দ্বী; আলু পটলের তরকারি রগধলে একটি অপরটির অনুপুরক | যেখানে অভাঁববোধ সেখানেই অভাবমোচনের চেষ্টা, এবং সে চেষ্টা সফল হলে অভাববিশেষেব অবসান ঘটতে পারে। মানুষের সব অভাব নিশ্চিহ্ন করা অসম্ভব, কিন্তু কোনে৷ এক সময়ে বিশেষ-একটি ভাবের সম্পূর্ণ তৃপ্তি অসম্ভব নয়। আমার সব অভাব কোনোকালেই মিটবে না, কিন্তু আমি যদি বসে বসে আপেল থেতে আরম্ভ করি বিরামহীনভাঁবে একটার পর একটা, তবে কিছুক্ষণের মধ্যে এমন অবস্থা আসবে যে আমি বলে উঠব, এখনকার মতো আমার আপেল খাওয়ার atatesta পূর্ণ পরিতৃপ্তি হয়েছে। অভাবের এই বিশেষত্বটি থেকেই চাহিদার প্রধান নিয়মগুলির উৎপত্তি এবং সেঙ্ষ্পেই এটাকে খুব ভালো করে বুঝে নেওয়া প্রয়োজন । কিন্তু তার আগে অন্য ছ-একট] ধারণা পরিষ্কার করে নিতে হবে | আমাদের ব্যবহৃত প্রত্যেক জিনিসেরই অভাবমোচনের ক্ষমতা বা “তৃপ্তিদান-ক্ষমতা” আছে; আলো-বাতাস থেকে আরম্ভ করে প্রয়োজনের আরামের এবং শখের সব জিনিসই আমাদের কমবেশি মাত্রায় তৃপ্তি দিতে পারে। সে তৃপ্তি উচুদরের না নীচুদরের সেটা আমাদের দেখবার কথা নয় — মোটরগাড়ির যেমন তৃপ্তিদান-ক্ষমতা আছে, মদেরও সে ক্ষমতা



Leave a Comment