ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবনচরিত ও কবিত্ব | Iswarchandra Gupter Jibancharit O Kabitwa

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
'তুমিকা ১৮৮৫ খ্রীষ্টাবে বন্কিমচন্দ্রের সম্পাদনায় ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিতাসংগ্রহ যখন প্রকাশিত হয়, তখন বঞ্কিমচন্গ্রের সাহিত্যজীবনের একটি পর্ব শেষ হয়েছে। তিনি তখন ধর্ম ও ততদ্বালোচনায় মনোনিবেশ করেছেন। যে-কয়টি উপন্যাম তিনি লিখেছেন, তাও Beisel দারা প্রভাবিত । এই সময়ে তিনি তাঁর প্রথম জীবনের নাহিত্যগুরু ঈশ্বরচন্জ্র গুপ্তের কবিতা-সংগ্রহ এবং কাব্যালোচনায় প্রবৃত্ত RCs | ১৮৮৩ খ্ীষ্টাবের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ১৮৮৫ খ্রীষ্টাবের জুন মাস tte বঙ্কিমচন্দ্র চাকরিস্মত্রে হাবড়াতে ছিলেন। এখানে থাকবার সময়েই তিনি তাঁর জামাতা রাখালচজ্্র বন্দ্যোপাধ্যায়-সম্পাদিত প্রচার এবং অক্ষয়চন্দ্র সরকার- সম্পাদিত নবজীবন পত্রিকায় হিন্দুধর্ম বিষয়ে রচনাগুলি প্রকাশ করেন। প্রচারে বের হয় লীতারাম এবং নবজীবনে বের হয় ধর্মতত্ব। প্রচারে ধারাবাহিক ভাবে কষ্ণচরিত্রও বের হতে থাকে। তাছাড়া বঙ্গদর্শন থেকে sagas হয় মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত। were প্রকাশিত দবেবী চৌধুরানীও সম্পূর্ণ হয়ে গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হয়। বস্তুত বন্কিমচন্দ্র তখন ws Bil রচন। ছেড়ে মানুষের ধর্মনীতি ও কর্মনীতি ' নিয়ে ছুরহ দার্শনিক আলোচনায় মগ্ন । এই সময়ে রচিত “ধর্ম ও সাহিত্য” প্রবন্ধে তিনি বলছেন, সাহিত্যের আলোচনায় সুখ আছে বটে, কিন্তু যে WA তোমার উদ্দেশ্য এবং প্রাপ্য হওয়া উচিত, নাহিত্যের eet তাহার ক্ষুদ্রাংশ মাত্র। সাহিত্যও ধর্ম ছাড়া নহে। কেন AY সাহিত্য নত্যযূলক। যাহা মত্য, তাহা ধর্ম। যদি এমন কুমাহিত্য থাকে যে তাহা অসত্যমূলক ও অধর্মময়, তবে তাহার পাঠে gate বা বিকৃতরুচি পাঠক ভিন্ন কেছ সী হয় না। কিন্তু সাহিত্যে যে সত্য ও যে ধর্ম, সমস্ত ধর্মের তাহা একাংশ মাত্র। অতএব কেবল সাহিত্য নছে, যে মহত্তত্বের অংশ এই সাহিত্য সেই ধর্মই এইরূপ আলোচনীয় হওয়া উচিত। atfeer ত্যাগ করিও না, কিন্তু সাহিত্যকে নিয় সোপান করিয়া ধর্মের মঞ্চে আরোহণ কর I”? ১ প্রচার ১২৯২ পৌষ ১৩



Leave a Comment