অবিস্মরণীয় মূহূর্ত্ত [সংস্করণ-১] | Abismaraniya Muhurta [Ed. 1]

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

(Click to expand)
একজন সত্যিকারের রাজা ব্যাপার দেখতে না| পাওয়া যায়। তাই আমাদের দেশের জীবনচরিত-লেখকদের ভাগ্যে পড়ে থাকে শুধু কতকগুলি তারিখ, নৈর্ব্যক্তিক কতকগুলি এঁতিহাসিক ঘটনার সংবাদ, আর ভিত্তিহীন কতকগুলি কিংবদন্তী এবং সকল জীবনীর মূল কথা হলো, তিনি খুব ভাল লোক ছিলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বেছে বেছে শুধু ভাল কাজ করে গিয়েছেন, স্থতরাং তিনি মহাপুরুষ, পুণ্যাত্ম, মহধি অথবা মহাত্মা। এই হলো আমাদের এঁতি- হাসিক পুরুষদের জীবনী লেখার FAY এবং এইভাবে বড়- লোকদের জীবনী আলোচনা করা মানে হলো তাদের প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো। আমাদের এই পুণ্য ভারতভূমির জল-হাওয়ার গুণে এখানে কোন কৃতী পুরুষ জন্মগ্রহণ করলেই মহ বা মহাত্মা বা খবিকল্প হয়ে যান, তার আপত্তি থাকলেও ভক্ত জীবনীকারর৷ শুনবেন না। আমাদের দেশে মানুষকে শ্রদ্ধা জানানোর একমাত্র পথ হচ্ছে, মানুষকে কাঠের দেবতায় পরিণত করা। এই কাষ্ট-পৌত্তলিকতা এমনভাবে আমাদের মনকে চেপে বসে আছে যে, ভক্তের Atel ভক্তিভাজনদেরও প্রভাবান্বিত করে এবং তারাও তাঁদের উত্তপ্ত প্রাণধারার বিচিত্র প্রকাশগুলিকে নিজেদের জীবনের সঙ্গোপন Beye লোহার সিন্দুকে বন্ধ করে রেখে চাবিটি অতল সমুদ্বের জলে ফেলে দিয়ে যান। এই জাতীয় মনোবৃত্তির প্রভাবে আজ আমরা জীবনকে, সমগ্র জীবনকে, বলিষ্ঠভাবে, সহজভাবে, সত্যভাবে দেখতে ভুলে গিয়েছি। প্রাণকে বাদ দিয়ে আমর! জীবনকে দেখি, তাই আমাদের জীবনী হয় প্রাণহীন, সাড়ে পাঁচশো পাতার জীবনীর মধ্যে ছলে না একটাও প্রাণের শিখা, মরা- প্রদীপের শুকনো সলতের মতন তা দীপ্যমান করে তুলতে পারে না নতুন প্রদীপকে। সমাজ-চেতনা ও সাহিত্য ছুই-ই পড়ে থাকে প্রাণহীন, অচল। যে বিচিত্র পথ দিয়ে এক-একটি



Leave a Comment