For Complaints/Suggesstions related to this material, please clickHere
বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)
(Click to expand)ভয় আমার জীবিকার উপার্জনের, প্রতিষ্ঠার । কাজি সাহেব যদি বলেন আর আমি রুমিকে
বিয়ে না করি, তাহলে আমাকে তার চেম্বার ছেড়ে দিতে ACA এইটেই আমার অজ্ঞাতে জন্য
দিয়েছে এ Saba | কাজি সাহেবের মতো খ্যাতনামা, প্রতিপত্তিসম্পন্ন এ্যাডভোকেটের
জুনিয়র হতে পারাটা ভাগ্যের কথা; পশার তার অমিত সম্ভাবনায় ভরা 1 সেই কাজি সাহেব
যদি আমাকে খারিজ করে দেন তো আমাকে পথে গিয়ে দাড়াতে হবে । আবার নতুন করে
শুরু করতে হবে জীবন | আবার সেই AMT) মাসে যে আজ আমার or পাঁচেক
আসছে-_ এর ধারা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ আমার স্ব স্বপ্নের মৃত্যু ।
আমি তো জানি কী ভীষণ এই একাকীত্ব, এই টাকা না থাকাটা, এই লড়াই |
ছোটবেলায় বাবা মারা যাবার পর, আমার তখন চার বছর বয়স শুনেছি, মা'র আবার বিয়ে
হলো | আমাকে রেখে গেলেন চাচাদের হাতে 1 তার নতুন স্বামীকে দেখিনি কখনো । মা-
কেও তারপর থেকে আর কোনদিন না । চাচাদের কাছে ভয়ঙ্কর বর্ণনা শুনতাম | লোকটা খুব
চাষা, চোয়াড়ে আর বিস্তর টাকা তার । মামারা কেউ ছিলেন না, মামা-বাড়ির অবস্থা ছিল খুব
খারাপ | মা-কে তাই আবার নতুন ঘর করতে যেতে হয়েছিল | আমার এসব কিস্সু মনে
নেই | কেবল একটা ছবি মনে আছে, আমাকে কোলে করে দলা করে ভাত পাকিয়ে ছড়া
বলতে বলতে মা খাইয়ে দিচ্ছেন | চেহারাটা মনে নেই | ঘরে একটা ডিবে জ্বলছে । খুব ধোয়া
হয়েছে। আর একটা ছবি, গোরস্তানে বাবাকে ওরা কবর দিতে নিয়ে গেছে | আমিও গেছি |
আমি আমার সমান কয়েকটা ছেলের সঙ্গে দূরে একটা ভাঙা কবর থেকে ছাতার গোড়া দিয়ে
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলছি একটা মড়ার খুলি আর খুব মজা পাচ্ছি। খুব রোদ বলে আমাকে
ছাতাটা দিয়েছিল | খুলিটাকে গড়াতে গড়াতে নিয়ে যাচ্ছি বালু-বালু মাটির ওপর দিয়ে,
থানকুনি পাতার ভেতর দিয়ে, কারা যেন গাদা ফুলের গাছ লাগিয়েছে তার দিকে | মেলা ফুল
ফুটেছে হলুদ হলুদ | ছাতাটাকে আমি কিছুতেই বাগে আনতে পারছি না । এমন সময় কে
একজন এসে বলল, গ্যাদা, শীগগীর আসো | তোমার বাপেরে না মাটি দিতাছে, দেখবা না ?
ব্যাস এইটুকু । আর কিছু মনে নেই । আমি গিয়েছিলাম কী গিয়েছিলাম না, দেখেছিলাম কী
দেখেছিলাম A কতদিন ভাবতে চেষ্টা করেছি__ একেবারে শাদা, কুয়াশার মতো । কিছু
মনে পড়ে AT
চাচারা খুব কালো মুখ করে দেখতেন আমাকে | আমি সেই ছোটবেলা থেকেই জানতাম,
যাদের বাবা নেই তাদের কেউ নেই । ইস্কুলে আমাদের হেডমাস্টার ক্লাশের ছেলেদের
বলতেন, ওর সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করো না যেন ৷ ওর বাবা নেই ৷ ওর কত দুঃখ |
দুঃখের কথা শুনে খুব আবছা একটা গর্ব হতো তখন | আমি সবার থেকে আলাদা 1 ক্লাশে
একদিন ইংরেজির স্যার 'অরফান' শব্দের বাংলা বলতে গিয়ে উদাহরণ দিলেন আমাকে |
ভারী স্কূর্তে হলো আমার | এখন মনে পড়লে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় । আবার ভাবি, বেশ
ছিলাম তখন | দুঃখকে দুঃখ মনে হতো না, আনন্দকে বুঝতে পারতাম না তখন | মানুষ বড়
হলেও যদি এ রকম হতো তাহলে তাকে বুঝি সুখী বলতো সবাই | কিন্তু ওটাতো অবোধের
কাল। এখন এই যে আমি বড় হয়েছি, দুঃখ হলে দুঃখটাকে একেবারে ভেতর থেকে নিংড়ে
CY বেরোতে দেখছি, এক ঝলক আলোর মতো আবার আনন্দে ভরে উঠছি__ আর সেই
আনন্দটুকু স্মৃতির মধ্যে প্রদীপের মতো জ্বলছে, এই শক্তিটার নাম বোধ হয় জীবন |
চাচারা অনেক করেছেন | এম.এ. পরীক্ষায় যখন থার্ড ক্লাস পেলাম, বক্লেন তারা | কী যে ১৪